মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কালিগঞ্জ গুদারাঘাট এলাকায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় গুদারাঘাট ও তৈলঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে নৌকা চলাচল বন্দ থাকে।
জানা যায়, প্রতিনিয়তই বুড়িগঙ্গায় নৌ-দুর্ঘটনা ঘটার কারণে নদীতে দুর্ঘটনা এড়াতে সদরঘাটের ওয়াজঘাট কিছুটা দূরে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লির ব্যবসায়ী এবং নৌকা মালিক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে টার্মিনালটি সদরঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকটি ঘাট বন্ধ থাকায় চাপ পরে নাগরমহলসহ আশপাশের ঘাটগুলোতে। এসময় ওই রুটে বেশি নৌকা চলার কারণে বিআইডব্লিউটি’র পোর্ট অফিসারের টহল স্পিডবোটের ধাক্কায় একটি খেয়া নৌকা ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের পোর্ট অফিসার একেএম আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনা সঠিক নয়। আমরা নদিতে টহল দিতে গেলে বিক্ষোভকারীরা আমাদের বাধা দেয়। নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতেই আমরা ঘাটটি ৫০ গজ দূরে সরিয়ে নিয়েছি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিগত স্বার্থে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে।
তবে সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নৌকাডুবির ঘটনা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মাহমুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লিটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম তৈরি পোশাক মার্কেট। খেয়া ঘাট বন্ধ হয়ে গেলে এ পল্লিটি মুখ থুবরে পড়বে। গার্মেন্ট শিল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে হলে টার্মিনালটি কিছুটা দক্ষিণ দিকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আজিজ শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছি। প্রতিদিন খেয়া নৌকায় করে আমাদের মালামাল ঢাকায় যায়। ঘাট বন্ধ হলে আমরা বিপদে পরে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
জিপি