মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিনগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট বাজার থেকে এসব ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য উদ্ধার করে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এসময় দুই সহোদরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে ওয়ালটনের ৩০টি বড় ফ্রিজ, ২৮টি এলইডি টিভি, ৪৩টি রাইস কুকার, ৭টি ইন্ডাকশন কুকার, ১টি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারসহ আনুমানিক ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী এই দুই ভাই কম টাকায় একটি চক্রের কাছ থেকে চোরাই পণ্যগুলো কিনেছিলেন।
এ ব্যাপারে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনে প্রেস ব্রিফিং করেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা গাড়ি চোর একটি চক্রকে নজরদারি করে আসছিলেন। এরই মধ্যে ওই চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া চুরি হওয়া বেশকিছু ট্রাকও উদ্ধার হয়।
তবে চক্রের কয়েকজন সদস্য জামিন পেয়ে আবার পুরনো কারবারে ফিরে গেছেন। ওই চক্রটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখতে গিয়েই ওয়ালটনের এই মালামাল গায়েবের বিষয়টি তারা জানতে পারেন।
গাড়ি চুরির এ চক্রটিই ওয়ালটনের মালামাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল।
এসপি জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার মেসার্স এম আলম নামে একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির একটি কাভার্ডভ্যান ওয়ালটনের কারখানা থেকে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নিয়ে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথে গাড়ি চুরির ওই চক্রটির প্রলোভনে পড়েন কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার।
তাই তারা চরফ্যাশন না গিয়ে মালামালগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে নিয়ে গিয়ে ফেরদৌস ও দানেসকে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মালামালগুলো উদ্ধার করে এবং দু’জনকে গ্রেফতার করে।
এসপি মো. শহীদুল্লাহ আরও জানান, মালামাল চুরি যাওয়ার বিষয়ে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ গত ৪ মার্চ কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা করেছিল। সে মামলায় ফেরদৌস ও দানেসকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আর উদ্ধার করা মালামাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এসএস/এএ