বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়ন প্রাঙ্গণে প্রায় ২০ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন উপকরণ ও অর্থ দিয়ে পুর্নবাসনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বুধবার থেকে পুরো ইউনিয়নে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভিক্ষুক পুর্নবাসন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান।
ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মজিবুল হক রিপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, ফেনীস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেবময় দেওয়ান, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও কর্মকর্তা মো. মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরের জামান চৌধুরী, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবু তাহের।
ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভিক্ষুক পুর্নবাসন কর্মসূচির দাতা দিদারুল আলম, শাহজাহান লিটন, আবদুল মান্নান বাচ্চু, আবদুল কুদ্দুস রাসেল, ফেনী জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল আফসার আপন প্রমুখ
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম মাওলা, বেলায়েত হোসেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য তাহমিনা আক্তার, স্বপ্না রানি মজুমদার, কামরুজ জাহানসহ ইউপি সদস্যরা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভিক্ষুকদের হাতে গরু, রিকশা, হাঁস-মুরগি, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, কাপড়, পাটি পাতাসহ নগদ অর্থ তুলে দেন।
ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মজিবুল হক রিপন জানান, পুরো ইউনিয়নে ওয়ার্ড মেম্বারের মাধ্যমে ভিক্ষুক জরিপ করা হয়।
জরিপে প্রায় ২০ চিহ্নিত ভিক্ষুকদের মাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডি চালের ব্যবস্থা করা হয়। যেসব কাজে দক্ষ তাকে সে হিসাবে পুনবার্সনের রুপ রেখা তৈরি করা হয়। দক্ষতা হিসেবে পুঁজি ও সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। এজন্য যতো অর্থের প্রয়োজন হবে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জন দাতা থেকে প্রাপ্ত তহবিল থেকে তা সরবরাহ করবেন। দুই বছর ধরে তাদের কর্মকাণ্ড মনিটরিং করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি