এমনকি মারধরের পর ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রশাসনিক ভবনে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে প্রশাসনিক ভবনের তালা ভেঙে রুবাইকে উদ্ধার করেছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। রুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ‘চোর, চোর’ আওয়াজ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ছুটে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুবাইকে নিরাপত্তাকর্মীরা মারধর করছেন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে আটকে রাখে নিরাপত্তা কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ‘বৈধ উপাচার্য’ নিয়োগের আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ভবনের দেয়ালে দেয়াল লিখছিলেন। আর এ কারণেই তাকে এভাবে মারধর এবং লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রুবাই বলেন, দেয়াল লেখার সময় আকস্মিকভাবে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই নিরাপত্তকর্মীরা আমায় মারধর করেন। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখানোর পরও তারা মারতে মারতে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে আটকে রাখে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জিএস নজরুল ইসলাম রলিফ বাংলানিউজকে বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাশরিকুল ইমনসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রুবাইকে বের করে আনেন।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আবু মুকাম্মেল বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তার স্বার্থে আটকে রাখা হয়েছিল। তার জন্য খাবারসহ ঘুমানোর জায়গার ব্যবস্থাও করা হয়। এত রাতে তাকে ছেড়ে দিলে আবার যদি কোনো অঘটন ঘটে তাই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ইমন তালা ভেঙে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে যায়। এখন ওই ছেলের নিরাপত্তার দায়ভার ইমনের।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সকালে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়তে চেয়েছিলাম।
তবে জিএস রলিফ বলেন, নিরাপত্তা কর্মীরা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। আমরা এ বিষয়ে জড়িতদের বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করছেন। একই সঙ্গে ‘বৈধ ভিসি চাই’ আন্দোলন আরো জোরদার করতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেয়ার কথা জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩, মার্চ ২৭, ২০১৮
আরএ/এমএ