শনিবার (৬ এপ্রিল) মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাসাস) সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইপ্রু প্রু চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর পরিস্থিতি ভালো থাকলেও এবছর পাহাড়ের পরিস্থিতি ভালো নেই।
এরপর সংগঠনের নেতারা স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশ্বাসের ভিত্তিতে আবারও উৎসবটি পালনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: ‘জলকেলি’ উৎসবটি মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম সামাজিক উৎসব। মূলত নববর্ষের পরের দিন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা মিলে পুরনো বছরের সকল গ্লানি মুছে ফেলতে একজন আরেকজনের গায়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। যা পরবর্তী একটি বিশেষ অনুষ্ঠান স্থলে সম্প্রদায়টির তরুণ-তরুণীরা পানি খেলায় মিলিত হয় বলে উৎসবের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ পালন করা হবে। নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিয়মে নানা অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। নতুন বছরকে ঘিরে পাহাড়িরা ঘরে ঘরে নানা রকম সুস্বাদু খাবার তৈরি করেন। এসব খাবারের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার হচ্ছে ‘পাজন’। এসময় পাহাড় যেন নতুন রূপে সাজে।
পাহাড়ে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা পুরনো বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে নববর্ষের দ্বিতীয় দিন একে অপরকে পানি ছিটিয়ে জল উৎসবে মেতে উঠে। ঐতিহ্যবাহী এ সামাজিক উৎসব পাহাড়ে ‘জলকেলি বা জল উৎসব’ নামে বেশ পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
জিপি