রোববার (০৭ এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় ১৪০তম আইপিইউ সম্মেলনে ‘নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জননীতি প্রণয়নের মাধ্যমে জ্বালানি ঘাটতি নিরসন: সংসদের করণীয়’ শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ প্রতিপাদ্যকে নিশ্চিত তথা এসডিজির মূল লক্ষ্য অর্জন করতে জ্বালানি ঘাটতি নিরসনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, দারিদ্র্যের শিকার জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিতিকরণে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। অনুন্নত দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় জ্বালানি প্রাপ্যতার অভাবে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়।
‘এই অসমতা বিবেচনায় নিয়ে তা দূরীকরণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে হবে। সংসদকে অবশ্যই সীমিত সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার জটিল বিষয়ে ভারসাম্য আনতে হবে। ’
জ্বালানি ঘাটতি নিরসনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এক্ষেত্রে আর্থিক নীতি এবং অর্থায়নের শর্তাবলী শিথিল করা উচিৎ। এক্ষেত্রে অর্থায়ন বাড়লে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্প্রসারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে এবং জ্বালানি ঘাটতিও নিরসন হবে।
মানুষের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে সৌরশক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেশনে সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এসকে/এমএ