সূত্র জানিয়েছে, ধর্মঘট চলাকালে তেল উত্তোলন বিপণন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে।
খুলনা জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির অফিস সচিব সরোজ দাস পিন্টু বাংলানিউজকে জানান, ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগসহ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সকল ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
যা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। মন্ত্রণালয় চিঠি পেয়ে তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ১০ জনের নামের তালিকা চেয়ে পাঠালেও পরে আর কোনো আলোচনাই হয়নি। এতে গত ৩০ মার্চ আবারও বৈঠকে বসেন তেল ব্যবসায়ীরা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে তেল উত্তোলন বিপণন ও সরবরাহ বন্ধ রাখার। ১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচালিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করতে হবে। জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান? বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রিমিয়াম পরিশাধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালু করতে হবে। ট্যাংকলরি ভাড়া বাড়াতে হবে। পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল করতে হবে। পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল করতে হবে। পেট্রোল পাম্পের অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেটর স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল করতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগে কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণ প্রথা বাতিল করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/