সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়ক পাকা করা হয়। তবে বছর যেতে না যেতেই এ সড়কের পিচ, ইট, বালু, খোয়া উঠে যায়।
মহম্মদপুরের আউনাড়া এলাকার সবিতা রানী, ওমেদপুরের মহসিন মোল্যাসহ একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। যে কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে তারা দুর্ভোগে পড়ছেন। প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। রোগী নিয়ে তারা জেলা সদরে যেতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ছেন। মহম্মদপুর থেকে একদিন মাগুরা যাতায়াত করলে দুদিন বাড়িতে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। মাগুরা থেকে মহম্মদপুর মাত্র ২৬ কিলোমিটার পথ যেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। দ্রুত রাস্তা মেরামত বা পুননির্মাণ না করা হলে আগামী বর্ষায় চরম ভোগান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
দৃপ্তি বিশ্বাস, প্রভাষ কুমার, আনিসুর রহমানসহ বেশ কিছু স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতিদিন ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যে কারণে তাদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে সড়ক দূর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষার্থীসহ একাধিক ব্যক্তি নিহত ও আহত হয়েছেন।
বাসচালক মইনুল ইসলামসহ একাধিক ইজিবাইক ও ভ্যানচালক বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলতে গিয়ে তাদের যানবাহন যেমন ভেঙে নষ্ট হচ্ছে, তেমন তাদের শরীরের ওপর ধকল যাচ্ছে। তবু পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে এ সড়ক দিয়ে তারা যানবাহন চালাচ্ছেন।
মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশরী মো: কাফি হোসেন বলেন, মাগুরা-মহম্মদপুর সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এ সড়কের কাজের সিএস মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। অনুমোদন পেলে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৩ ঘণ্টা, ১২ এপ্রিল, ২০১৯
এমএমএস