রাজধানীর পুরান ঢাকা এলাকায় তা সৌখিন মানুষের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন পুরান ঢাকার রাস্তায় চলাচলের পাশাপাশি এ গাড়িগুলো ঈদ, পহেলা বৈশাখ, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে বর্তমানেও গুরুত্ব বহন করে।
বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নির্ভর কোনো বিনোদন পর্যটনের সঙ্গে সংযুক্ত হলে তা দেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করবে। এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আয়োজকরা একে সংযুক্ত করতে যাচ্ছেন।
এই ঘোড়ার গাড়ির নাম- ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’। সপ্তরথী পরিবারের উদ্যোগে পর্যটননগরী শ্রীমঙ্গলে পহেলা বৈশাখ থেকে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’। শ্রীমঙ্গল পর্যটন শিল্পকে এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা। টি হ্যাভেন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সিদ্দিক মো. মুসা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের শ্রীমঙ্গলে বর্তমানে প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আসছেন। তাদের কাছে ঘোড়ার গাড়ির একটি চাহিদা রয়েছে। দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যর কথা ভেবে শ্রীমঙ্গল পর্যটন স্পটে ঘোড়ার গাড়ি সংযোজনের বিষয়টি আমি প্রথমই কল্পনা করি। পরবর্তীতে তা ইকোট্যুর গাইড তাপসসহ অন্যান্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারপর সম্মিলিত উদ্যোগে এটি ক্রয় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পহেলা বৈশাখ রোববার (১৪ এপ্রিল) আমাদের শ্রীমঙ্গলের অনুশীলন চক্রের বৈশাখের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় এটি সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অংশ নেবে। সেদিনই বিকেলে বধ্যভূমি একাত্তরে এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে।
দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এ ঘোড়ার গাড়িটি যাত্রী নিয়ে শ্রীমঙ্গলের বধ্যভূমি থেকে ছেড়ে যাবে। বিটিআরআই রোড দিয়ে ফুলছড়া চা বাগানের চৌমুহনা হয়ে রামনগরের পাকা রাস্তা ধরে কালিঘাট সড়ক দিয়ে পুনরায় ঘোড়ার গাড়িটি পুনরায় বধ্যভূমি একাত্তরে ফিরে আসবে বলে জানান আবু সিদ্দিক মো. মুসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
বিবিবি/এসএইচ