ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মৈত্রীময় জলকেলিতে মারমা তরুণ-তরুণীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
মৈত্রীময় জলকেলিতে মারমা তরুণ-তরুণীরা জলকেলিতে মারমা তরুণ-তরুণীরা, ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: বৈসাবির আনন্দে ভাসছে পাহাড়ি জনপদ। খাগড়াছড়ির পাড়া-মহল্লায় এখন আনন্দের রেশ। ছেলেবুড়ো সবাই মেতেছে উৎসবের আনন্দে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মারমা জাতিগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসব।

আর এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ জলকেলি বা পানিখেলা।

পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য। জলকেলিস্থলের চারপাশে হাজারও মানুষের ভিড়। পর্যটক, অতিথি, সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। এমন দৃশ্য দেখতে এবং স্মরণীয় করে রাখতে সবাই ব্যস্ত।  
 
ফুল বিজু, মুল বিজুর পর গয্যাপয্যার মধ্যদিয়ে চাকমাদের বিজু উৎসব শেষ হলেও রোববার শুরু হয় মারমাদের ‘সাংগ্রাই’। ভোর থেকেই নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেন মারমারা। বৌদ্ধকে স্নান করিয়ে বুদ্ধ পূজা করেন। বিশেষ ফুল দিয়ে ঘরদোর সাজান।
 
দুপুর সোয়া ১২টায় পানখাইয়াপাড়া বটতলায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই র‌্যালির উদ্বোধন করেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানসহ সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
র‌্যালিতে মারমারা বর্ণিল সাজে অংশ নেন। তারা নেচে-গেয়ে শহরকে উৎসবমূখর করে তুলেন। পরে সাংগ্রাইয়ের প্রধানতম আকর্ষণ মৈত্রীময় জল বর্ষণ বা জলকেলি শুরু হয়।

জলকেলির চারপাশে হাজারও মানুষের ভিড় করেন। এসময় সেখানে পর্যটক, অতিথি, সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষকে দেখা যায়।  

একদিকে বর্ণিল সাজে তরুণীর দল। অন্য প্রান্তে ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গিপরা তরুণের দল। তাদের পাশে বড় হাড়িভর্তি পানি, হাতে আছে জগ। মাঝে নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় একে অপরের প্রতি পানি ছোড়াছুড়ি। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল সাজে সেজে জলকেলিতে মেতে ওঠে মারমা তরুণ-তরুণীরা।

একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে নতুন বছরকে বরণ করেন। জলকেলি নামে পরিচিত এ উৎসবে যোগ দেন সব বয়সীরাই। তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণই বেশি দেখা যায়। নেচে গেয়ে উল্লাস করছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
এডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।