এই সংবিধানের ১৯ এবং ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সুষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে- দেশের সব মানুষের আইনি অধিকার এবং বিচার প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে।
সংবিধান প্রদত্ত সেই অধিকার বাস্তবায়িত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের ২০০০ সালে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা’ আইন প্রণয়ন করে সব মানুষের বিচার চাইবার অধিকার নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২৮ অক্টোবর) সকালে পিরোজপুরের জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমান, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন, পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিন, নারী শিশু এর পিপি রাজ্জাক খান বাদশা, সরকারি কৌসুলি শহিদুল আলম পান্না, লিগ্যাল এইড এর প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট কমল মুখার্জী এবং লিগ্যাল এইড এর সহায়তা পাওয়া বিচার প্রার্থী রোজিনা আক্তার অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নীতি হচ্ছে এদেশে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিচার করছে আদালত, বিশ্বজিৎ হত্যার অপরাধে অপরাধীদের ফাঁসির নির্দেশ হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামিদের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত, এভাবে বলতে গেলে অনেকভাবে প্রমাণিত হয় যে- এদেশের বিচার ব্যবস্থা এখন স্বাধীন এবং হস্তক্ষেপবিহীন।
তিনি বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রাষ্টীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ করে বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা’ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
এদেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ এই আইনের সুবিধা পাচ্ছেন। খেয়াল রাখতে হবে বিচার প্রার্থীরা যেন অবিচারের শিকার না হন।
আলোচনা সভার আগে বিচারক, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে শুরু হয়ে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
পরে মন্ত্রী শহরতলীর ডুমরিতলা শ্রীগুরু আশ্রমে ভক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
আরএ