মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর ধীরাশ্রম এলাকায় জি কে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনতার মুখেমুখি অনুষ্ঠানে নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান কাজল বক্তব্য রাখেন।
মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, নগরীতে ৮টি খাল খনন করে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এলাকার পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতায়তের সুবিধার্থে খালের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। সিটি এলাকায় নতুন রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি প্রশস্তকরণ ও বৃক্ষরোপণ করা হবে।
‘এলাকার কারখানার বর্জ্যে যাতে জলাশয় ও নদী দূষণ না হয় সেজন্য কারখানায় ইটিপি স্থাপনে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
তিনি বলেন, একদিনেই নগর উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব নয় এজন্য সময় লাগবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রথমে ৮টি থানা এলাকায় কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। পরে সব ওয়ার্ডে এর ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে টঙ্গী ব্রিজ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত মহাসড়কে কাজ চলছে। সেখানে জলাবদ্ধতা নিরসন করা একটু কষ্টকর। তবে খাল খনন করে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এর ফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, সিটি এলাকায় ময়লা রাখার সরকারি কোনো জায়গা নেই, এজন্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছি। প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াও বিদেশিদের সহযোগিতা নেয়া হবে।
সিটি করপোরেশনের কাজের স্বচ্ছতার বিষয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা অনলাইনে কাজের টেন্ডার দিচ্ছি। যাতে পৃথিবীর যে কোনো স্থান থেকে ঠিকাদারেরা এ টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন। কারো মুখ চিনে কোনো কাজের টেন্ডার দেয়া হবে না।
বেকারদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা গাজীপুর সিটির নাগরিক/ভোটার এবং যারা বেকার রয়েছেন পর্যায়ক্রমে তাদের শতভাগ কর্মসংস্থান করা হবে। এছাড়া ছাত্রীদের যদি কেউ উত্ত্যক্ত করে তবে ওই বখাটের অভিভাবকদের জবাবদিহি করা হবে। পাশাপাশি বখাটের বিচারের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
আরএস/এমএ