সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর অদূর কেরানীগঞ্জের জিনজিরার কালিগঞ্জ ডক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চে ঈদযাত্রার আগাম প্রস্তুতি বেশ জোরেশোরে চলছে।
লঞ্চ মেরামতে কর্মরত শ্রমিক বাবু বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন নৌরুটে চলাচলরত লঞ্চগুলোকে ঈদের আগে নতুন করে রং দিয়ে সাজসজ্জার কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রাথমিকভাবে কোনো ত্রুটি থাকলে তা সারানোর কাজ করা হয়। তার মতে, এখন কম কাজ হলেও রোজার ১০ দিন থেকে প্রায় প্রতিটি লঞ্চেই চলে রংয়ের কাজ। রংয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে হলুদ পরে লাল রং করা হয়। সবশেষ মালিকের লঞ্চের আগের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করা হয়।
লঞ্চ মালিক সমিতির অফিসে কর্মরত হাবিব জানান, সব লঞ্চ নতুন এবং সরকার অনুমোদিত। তবে ঘাটে ভেড়ানোর সময় একটি লঞ্চের সঙ্গে অন্যটির ধাক্কার ফলে রং উঠে পড়ে। তাই প্রতি বছর ঈদের আগে রংয়ের কাজটি বেশি চলে।
রাতুল মেরিন মেশিনারিতে কর্মরত দীন ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, একটা ইঞ্জিন এক বছর চলার পর কোথাও জটিলতা বা সামান্য ত্রুটি থাকতে পারে। তাই মালিকরা এসময় ইঞ্জিনগুলো কাজ করে নেন। অনেক লঞ্চে আবার নতুন ইঞ্জিন লাগানো হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে লঞ্চের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন থাকলে আগামী ২০ রোজা থেকেই মিলতে পারে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট। যদিও দু’একটি লঞ্চের পরিচিতরা স্ব স্ব লঞ্চের টিকিট আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি করতে আগামী ১৫ রমজানের পর সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। হয়তো আগামী ২০ রমজান থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
ইএআর/জেডএস