ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দোকানি বললেন, বাতাসে উল্টে গেছে মূল্যতালিকা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
দোকানি বললেন, বাতাসে উল্টে গেছে মূল্যতালিকা! রাজশাহীর বাজার তদারকিতে জেলা প্রশাসক

রাজশাহী: রাজশাহীতে এখন দেশি মুরগির দাম ৪২০ টাকা কেজি। নির্ধারিত এই দামের তালিকাও বাজারে টাঙানো। কিন্তু মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম সেই নির্ধারিত দামের তালিকা উল্টিয়ে রেখে মুরগি বিক্রি করছিলেন ৪৫০ টাকায়। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সঙ্গে সঙ্গে তাকে জরিমানা করলেন দুই হাজার টাকা।

এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফে মোহাম্মদ ছড়া ও সুকান্ত সাহা বাজারের অন্য দোকানগুলোতে গেলে আসাদুল আবার ৪৫০ টাকা দরে মুরগি বিক্রি শুরু করেন। উল্টিয়ে রাখেন মূল্যতালিকাও।

যেন বাতাসে আপনাআপনি উল্টে গেছে। বাজার ঘুরে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় আবারও বিষয়টি নজরে আসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের। এবার দ্বিতীয় দফায় তাকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  
এটি ছিল সোমবার (১৩ মে) দুপুরে জেলা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটির বাজার মনিটরিংয়ের সময়কার দৃশ্যপট। দ্বিতীয় দফায় জরিমানার সময় মুরগি বিক্রেতা আসাদুলের কাছে দামের তালিকা উল্টানো কেন ম্যাজিস্ট্রে টের প্রশ্নে আসাদুল জানান, সেটি বাতাসে উল্টে গেছে।

এসময় একজন ক্রেতা এসে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান, এইমাত্রই তার কাছে ৪৫০ টাকা দরে মুরগি বিক্রি করা হয়েছে। তখন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুলকে দ্বিতীয়বারের মতো জরিমানা করেন। এসময় ওই মুরগি ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরতও দিতে হয় তাকে।

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার নিয়মিতই বাজার মনিটরিং করছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে মনিটরিংয়ে অংশ নেন খোদ জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম আবদুল কাদের। পরে তিনি দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে রেখে চলে যান। দুই ম্যাজিস্ট্রেটের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ বিভিন্ন দোকানির কাছ থেকে মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এর মধ্যে সাহেববাজারের ‘শিবগঞ্জ সুইটস’কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দোকানটির দইয়ের পাত্রে প্রস্তুত ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লেখা ছিল না। এছাড়া উন্মুক্ত পরিবেশে জিলাপি তৈরি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অন্য খাবার সংরক্ষণ করেছিল শিবগঞ্জ সুইটস।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা জানান, প্রতিবছর রমজান এলেই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেন। তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি করেন। এসব যেন প্রতিরোধ করা যায় সেজন্যই তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।  

জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।