বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব সুপারিশ জানান সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধিরা।
এসময় বক্তারা বলেন, গতবছর এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় বাজেট ঘোষণা হয়েছিল, যেখানে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষাবঞ্চিত ৫৫ লাখ শিশু, শিক্ষার নিম্নমান, শিশুদের উচ্চ মৃত্যুহার, প্রতিবন্ধী শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক গবেষণাগুলো না পাওয়া, শিশুর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ইত্যাদি সমস্যা বিরাজমান।
তারা বলেন, শিশু অধিকারের প্রেক্ষাপট এক বছরে তেমন বদলায়নি। এ পরিস্থিতি উন্নয়নে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে ৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যা গতবারের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের শিশু অধিকার বাস্তবায়ন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আসন্ন জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও দিকনির্দেশনা চাই।
সেভ দ্য চিলড্রেনের সুপারিশগুলো হলো- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা, বিশেষ ঝুঁকিতে থাকা (যৌনপল্লী কিংবা পথে বসবাসরত শিশু) শিশুদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা ও বরাদ্দ বাড়ানো।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের সুপারিশ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের উপ-পরিচালক আশিক ইকবাল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন চাইল্ড ওয়াচ গভর্নমেন্ট অ্যান্ড চাইল্ড প্রটেকশন সেক্টরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র ম্যানেজার খালেদা আক্তার, ম্যানেজার সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি রাশেদা আক্তার, সোশ্যাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি শেখ রহমত উল্লাহ রুমি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এমএমআই/একে