দিনটি উপলক্ষ্যে শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকেই বিহারগুলোতে ছিল পূর্ণাথীদের ভিড়। জেলা শহরের য়ংড বৌদ্ধ বিহারসহ খাগড়াছড়ির নয় উপজেলার শতাধিক বৌদ্ধ বিহারে সকাল থেকেই চলছে- সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, ভিক্ষুদের পিণ্ডদান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ধর্মদেশনা।
সন্ধ্যায় বিহারগুলোতে পঞ্চশীল গ্রহণ, প্রবজ্যা গ্রহণ, প্রদীপ পূজা ও ফানস বাতি উড়ানোর কথা রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বৌদ্ধ বিহারগুলোতে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে খাগড়াছড়ির বৌদ্ধ বিহারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে খাগড়াছড়ির প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকেও পুলিশ রয়েছে সেখানে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যাতে নিরাপদে তাদের ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। পাশাপাশি এই দিনেই তিনি বুদ্ধত্ব ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। সে কারণেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ দিনটি খুবই পবিত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এডি/এসএ