দেশের প্রায় দুই হাজারের বেশি বৌদ্ধবিহারে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বুড্ডিস্ট ইয়ুথ ফোরাম, বুড্ডিস্ট কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। আয়োজনের মধ্যে ছিল পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রদান ও গ্রহণ, দেশ-জাতি ও মানুষের কল্যাণ কামনায় প্রদীপ প্রজ্বলন, প্রভাতফেরি, বুদ্ধপূজা, শোভাযাত্রা, সেমিনার ও সমবেত প্রার্থনা।
এদিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন। এর মধ্যে ১০টায় বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদান ও রক্তদান কর্মসূচি এবং সন্ধ্যায় আলোচনা সভা হয়।
এতে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলজ, আ্যডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বক্তব্য রাখেন, নেত্রসেন বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, সুপ্ত বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাথেরো।
বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব হয়েছিল। তার জন্ম, বোধি লাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বৈশাখী পূর্ণিমার আরেক নাম বুদ্ধপূর্ণিমা।
বৈশাখের এই পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধধর্মের অনুসারীরা স্নান করে শুচিবস্ত্র ধারণ করেন, উপাসনালয়গুলোতে চলে বুদ্ধের বন্দনা। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসবে সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখার মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা ঝরে সবার কণ্ঠে।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে শনিবার ছিল সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন। বাণীতে তারা শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধধর্মাবলম্বীকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এদিকে বুদ্ধপূণির্মাকে কেন্দ্র করে বিহারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় বৌদ্ধবিহারসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো। বিহারগুলোতে তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয় সবাইকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/