সোমবার (২০ মে) দুপুর পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থান করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
এদিকে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে কোনো যাত্রীকে কাউন্টার বা এর আশপাশ এলাকায় দেখা যায়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ১৮ মে বিআইডব্লিউটিএ ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ মে সোমবার সকাল ১০টা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা ১০ থেকে ১১টার ঘরে প্রবেশ করলেও কোনো কাউন্টার খোলতে দেখা যায়নি। এমনকি টিকিট নিতেও কোনো যাত্রী আসেনি।
পরে বিভিন্ন লঞ্চে ঢু মেরে দেখা যায়, সেখানে কাউন্টার সাজিয়ে বসেছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানেও টিকিট শুধু আগাম পরিচিতদের জন্যই বরাদ্দ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন-১২ লঞ্চের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বাংলানিউজকে প্রশ্ন রাখেন, আপনিই বলেন, লঞ্চের টিকিট কখনও কাউন্টারে বসে বিক্রি করা সম্ভব? একটা লঞ্চে কয়টা কেবিন থাকে? ডেকের টিকিট তো আর আগে বিক্রির সুযোগ নেই। এরপরেও যা টিকিট আমরা অগ্রিম বিক্রি করার কথা বলছি, তা বরিশালে আমাদের কার্যালয়ে বিক্রি হচ্ছে। তাই এখানে বিক্রি হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বাংলানিউজকে বলেন, এভাবে আসলে চলছে না, আমরা আজই টিকিট বিক্রির তারিখ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তাই আমরা আজকেই নোটিশ দেবো। যারা টিকিট বিক্রি করবেন না, তাদের কাউন্টারের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৩৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
কেডি/এএটি