ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ২০ ফেরি, ২২ লঞ্চ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ২০ ফেরি, ২২ লঞ্চ

রাজবাড়ী: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত ২০ ফেরি ও ২২ লঞ্চ।

জানা যায়, ঈদের আগে ও পরের ছয়দিন বন্ধ থাকবে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার। তবে যাত্রীবাহী যানবাহনের সঙ্গে পার হবে কাঁচামাল ও জরুরি পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও যানজট নিরসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাফিক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ঘাট এলাকায় থাকবে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকার সড়কে ঈদের আগেই বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন এবং লঞ্চ ও ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়ক সংস্কার করা হবে।

ইতোমধ্যে ঈদ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও মালিক-শ্রমিকদের সভায় জানানো হয়েছে, ঈদের সময় সড়কে বাস ও থ্রি-হুইলারসহ অন্যান্য যানবাহন শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলাচল করা, যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা ও কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া, চলন্ত ফেরিতে জুয়ার আসর বন্ধ করা, ঘাট এলাকায় দালাল ও ছিনতাইকারী চক্রকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি না রাখতে চালক ও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে আমরা ২০টি ফেরি দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন পারাপার করতে সক্ষম হবো।

বিআইডব্লিইটিএ’র সহকারী ব্যবস্থাপক ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৩৪টি লঞ্চ আছে আরিচা-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট এ দুই নৌরুটে। এরমধ্যে ২২টি লঞ্চ চলাচল করবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এবং ১২টা লঞ্চ চলবে আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বাংলানিউজকে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ঘাট এলাকায় থাকবে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাস্তা-ঘাট মেরামত থাকলে অবশ্যই ভালোভাবে পরিবহন ও যাত্রীরা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে। ঘাট এলাকায় যাত্রী হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।