ঠাকুরগাঁওয়ের দর্জিঘরগুলোর ঘুরে দেখা যায়, পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জি দোকানে ভিড় করছে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষজন। আর দোকানের কারিগর বা কর্মচারীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ শতাধিক দর্জি কারিগর কাজ করে। পুরো রমজান মাসজুড়ে কাজের প্রচুর চাপ থাকে। তাই কোনো কোনো দর্জির দোকানে শুধু এ মাসের জন্য অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। কেউ মাপ নিচ্ছে, কেউ কাপড় কাটছে, কেউ আবার সেলাই করছে, কেউবা বোতাম লাগিয়ে আয়রন করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সাজিয়ে রাখছে। এখন আর নতুন করে অর্ডার না নিলেও আগের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর এই সব কাজ সময় মতো দেওয়ার জন্য অনেক টেইর্লাস অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করেছে। দোকানগুলোতে যেন নারী-পুরুষ উভয় কাপড় তৈরি করতে আসছে ক্রেতারা। কারণ একটাই কেনা পোশাক থেকে বানানো পোশাক ভালো হয়। তাই দর্জির দোকানে আসা।
দর্জির দোকানে আসা সুমাইয়া আক্তার মনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে থ্রি পিস সেলাই করতে দর্জির দোকানে এসেছি। কারণ দর্জির দোকান থেকে কাপড় সেলাই করলে সেই জামা পরতে ভালো ফিটিং হয়। বানানো ভালো হয়, তাই আসা।
শিমু আক্তার নামে আরেক তরুণী জানান, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পরতে। রেডিমেড দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে। তাই নিজের পছন্দ মতো কাপড় কিনে বানাতে দেই।
কলেজছাত্র সালেহ আহম্মেদ বলেন, প্রতি বছর ঈদে আমি কাপড় কিনে জামা বানাই। কিন্তু এ বছর যেন জামার কাপড়ে দামও বেশি। আবার দর্জিরাও গত বছর থেকে মজুরি ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। যদি দামটা একটু কম থাকতো তাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ভালো হতো।
এদিকে দর্জিরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে গত বছর থেকে এ বছর প্রচুর অর্ডার আসছে। অর্ডার প্রতি থ্রি পিস ৩০০-৪০০ টাকা করে মুজুরি নিচ্ছে।
সুরভী টেইলার্সের মালিক রতন জানান, দর্জির দোকানে পুরুষে চেয়ে মহিলারাই বেশি আসছে। তাই আমরা কাউকেই ফিরিয়ে দিচ্ছিনা কারণ সামনে ঈদ। এ অর্ডার সময়মতো দিতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে বিরতিহীন ভাবে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসএইচ