ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘গ্রামীণ সড়কের প্রজেক্ট আনুন, আমি মিনিস্টারকে ডিও দেবো’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৯
‘গ্রামীণ সড়কের প্রজেক্ট আনুন, আমি মিনিস্টারকে ডিও দেবো’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: গ্রামীণ ও চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রকল্প এলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশে সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ আশ্বাস দেন।
 
বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা।


 
চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক নাজুক, মানুষের যোগাযোগের ভরসা পায়ে হাঁটা- এসব এলাকার উন্নয়নে পরিকল্পনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এসব স্থানে যেসব রাস্তা হয়, ব্রিজ-কালভার্ট হয় এগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প।
 
‘সেখানকার এ ধরনের কোনো বিষয় থাকে তাহলে আমাকেও বলতে পারেন, আমি মিনিস্টারকে বলে দেবো অথবা আপনি যদি কোনো প্রজেক্ট নিয়ে আসেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আলাপ করে, মিনিস্টারকে প্রয়োজনে আমি ডিও লেটার দেবো। কারণ, অবহেলিত এলাকায় রাস্তা-ঘাটের অভাবে অবহেলাটা আরো বাড়ে। সে কারণে জনস্বার্থের কাজটিতে আমিও সহযোগিতা করবো, যদিও এটা আমার মিনিস্ট্রির কাজের আওতায় পড়ে না। তবুও পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে, আমি সেটা করবো।
 
গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণের ৩/৪ দিন পরই বেহাল অবস্থা হয়- এ বিষয়ে সড়ক মন্ত্রী বলেন, এটার একটা সমস্যা আছেই। সারাক্ষণ যেভাবে হেভি ট্রাফিক ভলিউম, গ্রামের রাস্তাতেও যেভাবে ভারী পণ্য ব্যবহার করে সে কারণে রাস্তা ঠিক থাকে না। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ে, একনেক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে যাতে রাস্তাগুলো সাসটেইনেবল হয়, টেকসই হয়। মেইনটেন্সের বরাদ্দটা আরো বাড়ানো…।  উচ্চপর্যায়ে এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে।
 
পদ্মাসেতুর সবশেষ অবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, টার্গেট ঠিক রাখা যায় না, পদ্মানদী খুব বেশি আনপ্রেডিকটেবল। ইদানীং আমাজনের চেয়েও এটা আরো আনপ্রেডিকটেবল। এমনকি সারা পৃথিবীতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পদ্মা নদীর সয়েল কন্ডিশনও প্রেডিকটেবল না। সে কারণে আমরা শুরুতে বারবার বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছিলাম, ব্যাড ওয়েদার হলে টার্গেট অ্যাসিভ করতে পারছিলাম না।

‘তবে এ সংকট এখন আর নেই। এখন আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া খুব বেশি বৈরী না হলে পিয়ারের উপরে স্প্যান বসানো কাজটি কঠিন নয়। পদ্মাসেতু নিয়ে এখন আর কোনো অনিশ্চয়তার বিষয় নেই। হয়তো মাঝে মধ্যে ওয়েদারের কারণে সমস্যা হয়ে যায়, সময় ঠিক রাখা যায় না। কিন্তু কাজটি গতিবেগে চলছে ও আগের চেয়ে গতি পেয়েছে অনেক বেশি। কারণ স্প্যান ঘন ঘন বসছে এটা একটা আশার বিষয়।
 
গত ২৫ মে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসে পদ্মাসেতুর ১৩তম স্প্যান। এ স্প্যানটি বসানো অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি বসিয়ে ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মাসেতু।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।