সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে মিল্কভিটার আওতাধীন সাড়ে ৫শ’ দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির মাধ্যমে ২৫ হাজার খামারিদের দুধ সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
এর আগে পাস্তুরিত তরল দুধ উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধে উচ্চ আদালতের ৫ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার কারণে সকাল থেকে মিল্কভিটাসহ দেশের ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখে।
বিকেলে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত মিল্কভিটার ওপর হাইকোর্টের নির্দেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। তবে বেসরকারি অন্য কোম্পানিগুলোর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহ করেনি।
এদিকে আড়ং, প্রাণ, আকিজ, ফার্মফ্রেশসহ অন্যান্য কোম্পানিগুলো দুধ সংগ্রহ শুরু না করায় অর্ধেকেরও বেশি খামারি রয়েছেন চরম বিপাকে। সোমবার দুপুরে তাদের লক্ষাধিক গরু থেকে উৎপাদিত দুধ বিপণন না করতে পেরে হতাশায় ভুগছেন। এমতবস্থায় তারা খামারের পশু পালন ও নিজেদের পরিবার নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে।
এর আগে পোতাজিয়া গ্রামের খামারিরা দুধ বিক্রি করতে না পেরে বাধ্য হয়েই বন্যার পানিতে ফেলে দিয়েছে। অনেকে স্থানীয়ভাবে খুবই অল্প দামে দুধ বিক্রি করেছেন। তবে মঙ্গলবার দুধ সংগ্রহ শুরু না হলে দুরবস্থায় পড়বেন খামারিরা।
বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার উপ-মহা ব্যবস্থাপক ডা. এএফএম ইদ্রিস আলী জানান, উচ্চ আদালতের আদেশের কারণে দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আপীল বিভাগ আদেশ স্থগিত করায় আবার দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘন্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
আরএ