রোববার (০৪ আগস্ট) বরিশাল বিভাগে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ‘ই-ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’ কার্যক্রমের উদ্বোধন, সহায়তা প্রদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডিআইজি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এরমধ্য দিয়ে জনসাধারণকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা দেওয়া যাবে। যানবাহন চালক বা মালিকদের আর মামলার কাগজ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। এখন থেকে তারা স্বচ্ছভাবে কী মামলা হচ্ছে, কত টাকা জরিমানা হচ্ছে তা দেখতে পারবেন, আবার দ্রুত সময়ে ইউক্যাশের মাধ্যমে দেশের যে কোনো জায়গা থেকে মামলার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আগে থেকেই ট্র্যাফিক আইনের মামলার সব টাকা সরকারি কোষাগারে যেত। তবে মানুষের মধ্যে এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। পজ মেশিনের মাধ্যমে মামলার ফলে আশা করি এখন বিষয়টি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকার অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অ্যানালিস্ট মো. হামিদুল ইসলামসহ বরিশাল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম। এর আগে ইউসিবিএলের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ইউক্যাশ কর্তৃপক্ষ ও গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা পুলিশের চুক্তি সই হয়।
জেলা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘ই- ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’ প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫টি পজ মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে এবং উদ্বোধনের আগে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ৪০ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর ইউসিবিএলের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ইউক্যাশ থেকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করা যাবে। পাশাপাশি গ্রামীণফোন পজ মেশিনের নেটওয়ার্ক সাপোর্ট দেবে।
ইউসিবিএলের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ইউক্যাশ কর্তৃপক্ষ জানায়, বরিশাল মহানগরের ৫৩টিসহ জেলায় ১৭৫টি পয়েন্টে তাদের এজেন্টদের কার্যক্রম চলমান। যেখান থেকে যানবাহন চালক ও মালিকরা জরিমানার টাকা পরিশোধের সুযোগ পাবেন।
বরিশাল জেলা ট্র্যাফিক পুলিশ গত অর্থবছরে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ম্যানুয়াল ও সনাতন পদ্ধতিতে ১৬ হাজার ৭৬৩টি মামলা করে ১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ম্যানুয়াল ও সনাতন পদ্ধতিতে ১ হাজার ৬৭৩টি মামলা করে জরিমানা করা হয় ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, যা জমা হয়ে গেছে সরকারি কোষাগারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এমএস/এইচএডি