কথাগুলো বলছিলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে ঈমান আলী। এবারের কোরবানির ঈদে তিনি দুইটি দেশীয় ষাড় বিক্রি করবেন।
ঈমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, সংসারে সচ্ছলতা আনার জন্য দুই ভাইকে বিদেশে পাঠানো, কৃষি কাজ, মাছ চাষসহ বিভিন্ন কাজে টাকা বিনিয়োগ করে লোকসানে পড়ি। এক পর্যায়ে দেশীয় গরু পালনের মধ্য দিয়ে লাভের মুখ দেখি। কোরবানির ঈদের প্রায় ১১ দিন বাকি। এরমধ্যে ষাড় দুইটির দাম আরও বাড়বে বলে আশা করছি।
ঈমান আলীর মা রহিমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, মা, আট ভাই-বোন ও নিজের ২ ছেলে-মেয়েসহ প্রায় ২০ জনের সংসার চালানোর দায়িত্ব পড়ে ঈমান আলীর ওপর। প্রথমে কৃষি কাজ পরে মাছ চাষে লোকসান গুনতে হয়। এক পর্যায়ে ওর বাবার রেখে যাওয়া জমি বন্ধক দিয়ে প্রায় পাঁচ বছর আগে দুই ভাইকে বিদেশে পাঠায় ঈমান। এখানেও পড়তে হয় ব্যাপক লোকসানে।
এক পর্যায়ে শেষ সম্বল হিসেবে ঘরে থাকা দুইটি বাছুর বড় করতে থাকে ঈমান। দুই বছর লালন-পালন করে এগুলোকে কোরবানির ঈদে ভাল দামে বিক্রির পর সংসারে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। এরপর থেকে প্রতি বছরই গরু বড় করার পর ঈদ মৌসুমে তা বিক্রি করে।
ঈমান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শুধু খোরাকির ধানের জন্য কিছু জমি চাষ করি। ঘরে বড় দুইটি ষাড় ছাড়াও বাছুরসহ তিনটি গাভী রয়েছে। সামান্য জমি চাষের জন্য অল্প সময়ের প্রয়োজন। দিনের প্রায় পুরোটা সময়ই গবাদিপশুদের পরিচর্যায় ব্যয় করি।
এদিকে, ঈমান মিয়ার সফলতা দেখে গরু পালনের প্রতি উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। ইতোমধ্যে ওই এলাকার হুছন আলী, মোবাশ্বির মিয়া এবং তজু মিয়া গরু পালন করছেন। এবারের ঈদে তারাও প্রত্যেকে একটি করে গরু বিক্রি করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এনটি