এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা জার্মানভিত্তিক সংস্থা টিআইবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ও অন্য পদস্থ কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স উপদেষ্টা’ ও ‘কোর্স পরিচালক’ হিসেবে বিপুল অংকের অর্থ ‘সম্মানি’ ও ‘ভাতা’ হিসেবে নিয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারা এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অনভিপ্রেত।
‘এছাড়া এ ধরনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ না করেই সম্পৃক্ততার নামে জনগণের করের অর্থ আদায় একদিকে রীতিমতো আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সুস্পষ্ট দুর্নীতি, অপরদিকে যোগসাজসের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা অর্জনের বিস্ময়কর নজির, যা এ পর্যায়ের সাংবিধানিক পদাধিকারী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট কোনভাবেই কাম্য নয়। এ অনৈতিক ঘটনা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্পের ‘বালিশ দুর্নীতি’-কেও ম্লান করে দিয়েছে। ’
নির্বাচন কমিশনের মত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পুরো কমিশনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির সাংবিধানিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের স্বার্থে গুরুতর অনিয়ম ও নৈতিক স্থলনের জন্য সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হিসেবে দায় গ্রহণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ’
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যেখানে জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন, এমন সময়ে কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্থলনজনিত এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পুরো কমিশনের জন্য আস্থার সংকট আরও ঘনীভূত করল। এ পর্যায়ে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই সিইসি ও কমিশনারদের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে জড়িত প্রত্যেককেই জবাবদিহিতার আওতায় এনে প্রতিষ্ঠানটির সাংবিধানিক মর্যাদা ও সুনাম পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
ইইউডি/এসএ