ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিইসিকে পদত্যাগের আহ্বান টিআইবি’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৯
সিইসিকে পদত্যাগের আহ্বান টিআইবি’র

ঢাকা: জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণের নামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারের স্বার্থে অভিযুক্তদের অবিলম্বে পদত্যাগ ও উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা জার্মানভিত্তিক সংস্থা টিআইবি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ও অন্য পদস্থ কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স উপদেষ্টা’ ও ‘কোর্স পরিচালক’ হিসেবে বিপুল অংকের অর্থ ‘সম্মানি’ ও ‘ভাতা’ হিসেবে নিয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারা এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অনভিপ্রেত।

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে পুরো একটি কমিশনের পদস্থ প্রায় সব কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নজিরবিহীন। ’

‘এছাড়া এ ধরনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ না করেই সম্পৃক্ততার নামে জনগণের করের অর্থ আদায় একদিকে রীতিমতো আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সুস্পষ্ট দুর্নীতি, অপরদিকে যোগসাজসের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা অর্জনের বিস্ময়কর নজির, যা এ পর্যায়ের সাংবিধানিক পদাধিকারী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট কোনভাবেই কাম্য নয়। এ অনৈতিক ঘটনা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্পের ‘বালিশ দুর্নীতি’-কেও ম্লান করে দিয়েছে। ’

নির্বাচন কমিশনের মত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পুরো কমিশনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির সাংবিধানিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের স্বার্থে গুরুতর অনিয়ম ও নৈতিক স্থলনের জন্য সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হিসেবে দায় গ্রহণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ’

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যেখানে জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন, এমন সময়ে কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্থলনজনিত এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পুরো কমিশনের জন্য আস্থার সংকট আরও ঘনীভূত করল। এ পর্যায়ে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই সিইসি ও কমিশনারদের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে জড়িত প্রত্যেককেই জবাবদিহিতার আওতায় এনে প্রতিষ্ঠানটির সাংবিধানিক মর্যাদা ও সুনাম পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হতে হবে। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
ইইউডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।