রোববার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া শেখেরদীঘি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাকে হাতে নাতে আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত সহিদার রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও এক ছেলে সন্তানসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেন কাঠমিস্ত্রী ইউনুস আলী। ৫/৬ মাস আগে সেই ছেলের বিয়ে দেন। ছেলে (সৎ) কাজের সন্ধানে ঢাকায় অবস্থান করেন। এদিকে পুত্রবধূ ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন ইউনুস। রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে ঘুমন্ত পুত্রবধূর ঘরে কৌশলে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন। পুত্রবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ধর্ষক শ্বশুরকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ওই পুত্রবধূ বাদী হয়ে ধর্ষক শ্বশুর ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। নির্যাতিতা পুত্রবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই পুত্রবধূ বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের পর থেকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে ভয়ভিতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন লম্পট শ্বশুর ইউনুস আলী। প্রতিবাদ করলে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেন। রোববার রাতে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি করেন তিনি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষিতার অভিযোগটি আমলে নিয়ে আটক ইউনুস আলীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
আরএ