তিনি বলেন, জাতির পিতার জীবন বিশ্লেষণ করে তার আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। অন্যায়ের কাছে কখনও মাথানত করেননি।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ঢাকার গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার।
আলোচনা সভায় স্পিকার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি দিন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তিনি মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারিতে ছিলেন। পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিটি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের পরতে পরতেই মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ত্যাগ।
‘বাংলার জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। জনগণের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন। তিনি অসীম সাহসিতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা ও সংবিধান। ’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মুকুল বোস প্রমুখ।
সভা শেষে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যসহ সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এসকে/এএ