এরমধ্যে, পিএস টার্ন শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টায় এবং পিএস মাহ্সুদ গত ২৪ দিন ধরে বিকল রয়েছে।
এদিকে, পিএস টার্নের যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে না পেরে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের পুরতান লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশে রকেট স্টিমার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পিএস মাহসুদ ঘাটের জেটির সঙ্গে বাঁধা এবং তার পাশেই ডাকাতিয়া নদীর মাঝ বরাবর বাঁধা রয়েছে পিএস টার্ন।
স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পিএস টার্নে বাগেরহাট যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন শাহজাহান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রকেটটি চাঁদপুর ঘাটে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে স্টিমারটি বিকল হয়ে যায়।
রকেট ঘাটের জ্বালানি ব্যবসায়ী হাজী বিল্লাল মিয়াজী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় এক মাস ধরে বিকল হয়ে ঘাটে পড়ে আছে পিএস মাহসুদ। এরপর শনিবার পিএস টার্ন বিকল হওয়ার পর থেকে কিছু যাত্রী নেমে অন্য রুটে গেলেও এখন পর্যন্ত অনেক যাত্রী খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)’র চাঁদপুর রকেট ঘাটের সহকারী ম্যানেজার মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ২৪ দিন আগে পিএস মাহসুদ ইঞ্জিনের সঙ্গে পাখার সংযোগ দেওয়া রাবার ডিস্ক লারনার নষ্ট হয়ে যায়। পরে এটি মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এটি মেরামত খুবই সুক্ষ্ম কাজ। তাই আরও ৮ থেকে ১০দিন সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে পিএস টার্ন চাঁদপুরঘাটে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ছাড়ার সময় পাখার চারটি পাতা বাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে ইঞ্জিনে বিকট শব্দ হতে থাকে। বাঁকা পাতা যেদিকে ঘোরার কথা সেদিকে না ঘুরে উল্টো ঘোরার কারণে ইঞ্জিন চালানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এনটি