শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা দাবি পূরণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ৮ দিনের সময়সীমা বেধে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জেলার প্রধান ৫টি সড়ক থেকে নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ইজিবাইক ও থ্রি হুইলারসহ অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছি। এছাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে এসব যানবাহন উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তিনি দাবি করেন, জেলার প্রধান সড়কগুলোতে এসব যানবহন চলাচল করার কারণে পরিবহন শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। এ কারণে জেলার প্রায় দেড় হাজার পরিবহন ব্যবসায়ী ও ৬ হাজার শ্রমিক চরম নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দার স্থানীয় পত্র পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গত ৯ বছরে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে অবৈধ এসব যানবহনে দুর্ঘটনায় ৫ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার মানুষ। হতাহতদের পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু এরপরও ঘুম ভাঙছে না স্থানীয় প্রশাসনের।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল বলেন, আমাদের দুই দফা দাবির মধ্যে রয়েছে জেলার প্রধান ৫টি সড়ক থেকে সব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সরাসরি বাস চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি দু’টি পূরণ না হলে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জেলার সব রুটে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন, জেলা বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দীন খাঁনসহ মালিক-শ্রমিক ঐক্য গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
আরএ