চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবি সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
অন্যদিকে নিহত সুমাইয়ার স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মামা আজিজুর রহমান জানান, মাগুরা সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের বিল্লাল মোল্যার মেয়ে তার ভাগ্নি সুমাইয়া খাতুন রচনা ৬-৭ বছর ধরে চেয়ারম্যান হাসনা হেনার বাসায় কাজ করে আসছে। শুক্রবার রাতে রচনার বড় বোন সোনিয়া চেয়ারম্যানের বাড়িতে ছোট বোনকে দেখতে যায়, কিন্তু তাকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ছোট বোনের সঙ্গে দেখা না করতে পেরে সোনিয়া কাঁদতে-কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে। শনিবার সকালে চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে তার বাবাকে জানায়, তার মেয়ে রচনা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল মোল্লা অভিযোগ করেন, তারা খবর পেয়ে পুলিশের সঙ্গে মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে দেখতে পান রচনার বাম পা খাটের উপর হাঁটু ভাঁজ করা ও ডান পা খাটের নিচে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন রচনাকে হত্যা করে এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনা হেনা জানান, রচনা প্রায় ৭ বছর আমার বাসায় কাজ করছে। কিন্তু কি কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরীকুল ইসলাম জানান, মেয়েটি খাটের মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে ময়না-তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
আরএ