ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম বিদেশে যাবে না: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম বিদেশে যাবে না: অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর কাছে চেক হস্তান্তর

ঢাকা: দেশ থেকে যে ইন্স্যুরেন্স হবে তার প্রিমিয়াম বিদেশে যাবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলানগরে মন্ত্রীর দফতরে সাধারণ বীমা করপোরেশন ২০১৮ সালের হিসাব থেকে লভ্যাংশ হিসেবে সরকারি কোষাগারে ৫০ কোটি টাকার চেক জমা দেয়। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার আহসান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


 
আমাদের দেশের ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম দেশে থাকলে দেশীয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর রেভিনিউ বেড়ে যাবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় বিদেশ থেকে মেশিনারিজ আসতো আবার ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম চলে যেতো। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি আমার এটা আমরা কাভার করবো। এখন এগুলো বিদেশে যাবে না।
 
রেভিনিউ কোন কোন খাতে পাচ্ছিল না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব রপ্তানিগুলো হয়, বড় বড় রপ্তানিগুলো হতো বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য, এক্ষেত্রে বলা হতো আমাদের দেশের ইন্স্যুরেন্সগুলো ছোট, আমাদের শক্তি নেই। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তারা প্রিমিয়াম দিতে পারবে না, লস কাভার করতে পারবে না। এক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ামগুলো বিদেশে চলে যেতো। এটা আর হতে দেওয়া হবে না।
 
বিমা প্রতিষ্ঠান দাবি পরিশোধ করছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এ ধরনের অভিযোগ নেই। আমি যদি এই ধরনের অভিযোগ পাই তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো, এগুলোর সুরাহা করবো। আমার মনে হয় কোম্পানিগুলো এতোটা নিচে নামেনি। সাধারণ রিমার ক্ষেত্রে এটা গ্রহণযোগ্য না, এটা জীবন বিমার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেবল হতে পারে। সেখানে অনেক ডিসপিউটের জায়গা থাকে। এখানে অনেক সময় টাকা ঠিকমতো পেমেন্ট করা হয় না। অনেকে বয়স লুকিয়ে থাকেন, তখন ঝামেলা তৈরি হয়।
 
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ৫০ কোটি টাকার চেক দিয়েছি। তারা ট্যাক্সও পেমেন্ট করেছে। তারা মোটামুটি ভালো করছে। আগামীতে প্রফিট ডাবল হবে। যেখানে সাধারণ বীমা প্রফিট পাচ্ছিল না এখন তারা পাবে। আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ বীমার রেভিনিউ বাড়লে সেবাও বাড়বে। গ্রাহকেরাও বেনিফিট পাবেন, বলেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিমা সেবা দিয়ে আসছে। তারা এনবিআরকে রাজস্ব দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের কোষাগারে সরাসরি টাকা দিচ্ছে। মেগা প্রকল্পগুলো বিমা কভারেজ দিচ্ছে, ফলে সরকারি কোষাগারে আরো বেশি টাকা দেবে এই সংস্থাটি। আমি বলবো সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ভালো করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।