বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য আবু জাহিরের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপির দুই মেয়াদে সার নিয়ে অমানবিকভাবে দুর্নীতি হয়েছে। যার ফলে সফল উৎপাদন কমে গিয়েছিল। ৯৫ সালে সারের দাবি জানালে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করা হয়। এরপর আবার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৫ বছরই সারের সংকট ছিল।
আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৭ জানুয়ারি আমাদের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সারের দাম কমানোর এজেন্ডা এনেছিলেন। তখন সারের দাম কমানো হয়।
‘৭২ টাকার টিএসপি কমিয়ে ২২ টাকা, ৯০ টাকার ডিএসপি কমিয়ে ২৫ টাকা করা হয়। ৬০ টাকার পটাশ কমিয়ে ১৫ টাকা করা হয়। এখনও সেই ১৫ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে। আমরা এক পয়সাও সারের দাম বাড়াইনি। সারের জন্য কৃষককে মেম্বারের কাছে, ডিলারের কাছে দৌড়াতে হয় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যারা সার বিতরণের সঙ্গে জড়িত তারা যথেষ্ট সতর্ক। যেভাবে বলা হচ্ছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী প্রতারণা করে। আমি বলবো প্রতারণা অনেক কমে গেছে। ফলে কৃষক ঠিকমতো সার ও বীজ পাচ্ছে, উৎপাদন বেড়েছে। ’
মন্ত্রী আরও বলেন, গত মৌসুমে আমাদের ধান উৎপাদনের টার্গেট ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ। কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ। ছোটখাটো অনিয়ম-দুর্নীতি হতে পারে, ব্যবসায়িরা মুনাফার লোভে এটা করতে পারে। তবে সারাদেশে স্বাভাবিকভাবেই সার-বীজ বিতরণে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসকে/এএ