ঢাকা, শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১.৮৩ লাখ পরিবারকে অতিদরিদ্রতামুক্ত করেছে ‘উজ্জীবিত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
১.৮৩ লাখ পরিবারকে অতিদরিদ্রতামুক্ত করেছে ‘উজ্জীবিত’ প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘উজ্জীবিত’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৩ হাজার পরিবারকে চরম দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। 

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে অতিদারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসূচি ‘ইউপিপি-উজ্জীবিত কম্পোনেন্ট’র চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, মেয়াদভিত্তিক প্রকল্প থেকে পাওয়া সুফল স্থায়ী হয় না।

তাই, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য দূর করতে প্রয়োজন মানবকেন্দ্রিক সমন্বিত উদ্যোগ। ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়'-এ মূলমন্ত্র ধারণ করে টেকসই উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

বিশেষ অতিথি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন উল্লেখযোগ্য। দেশে এখনো যারা অতিদরিদ্র রয়েছে, তাদের জন্য উপযুক্ত ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফার্স্ট সেক্রেটারি মানফ্রিড ফারনহোলজ বলেন, বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহায়তা করেছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, গত পাঁচ বছরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘উজ্জীবিত’ প্রকল্পের কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বেশ সাড়া ফেলেছে। সহযোগী সংস্থাসগুলোকে এসব উদ্যোগ মাঠপর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে চলমান রাখতে হবে।  

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ১১ দশমিক ০৫ মিলিয়ন ইউরো বাজেটের ‘উজ্জীবিত’ প্রকল্পটি ২০১৩ সালের নভেম্বর শুরু হয়ে ২০১৯ সালেল এপ্রিল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে পিকেএসএফ। ৩৬টি নির্বাচিত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ১ হাজার ৭২৪টি ইউনিয়নে এটি বাস্তবায়িত হয়। এসব এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার নারী-প্রধান ও অতিদরিদ্র পরিবারকে চরম দারিদ্র্য থেকে টেকসইভাবে প্রাগ্রসর করাই ছিল এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক একিউএম গোলাম মাওলা ও উজ্জীবিত প্রকল্পের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এমএ বাকী খলীলী। অনুষ্ঠানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও পিকেএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।