শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে জিয়ালা গ্রামে দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘গ্রাম হবে শহর’ ইশতেহারের আলোকে জিয়ালা গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
২০৪১ সালে দেশের অবস্থান যে পর্যায়ে পৌঁছাবে, তার সবকিছুই আমরা জিয়ালা গ্রামে সবার আগে নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু সেজন্য জিয়ালা গ্রামের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। জিয়ালা গ্রামকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
জিয়ালা গ্রামের মানুষ দুধ উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গরু লালন-পালন করা হয়। কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে না পারায় এখানে এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের বিকল্প নেই।
এসময় তিনি স্থানীয় দুগ্ধ খামারীদের দাবির প্রেক্ষিতে এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন ও দুধের দাম বৃদ্ধির জন্য মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার আশ্বাস দেন।
সভায় তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল।
দুগ্ধ খামারীদের মধ্যে স্থানীয়ভাবে গরু পালনে সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দিবস ঘোষ ও নন্দ ঘোষ।
এ সময় তালার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল হকসহ শত শত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে সময়: ০৪২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এমএমইউ