মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার জয়নাল উদ্দিনের ছেলে আহসানউল্লাহ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ও প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক ফরিদউদ্দিন রুমি, মিশুক খান মিজান, রুমির ভাই পলাতক জালালউদ্দিন রফিকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অভিযানের সময়ে রুমির ভাই জালালউদ্দিন রফিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে গেছে পরিবার এমন দাবি করলেও মঙ্গলবার দায়ের করা মামলাতে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
অপরদিকে গ্রেফতার মিশুক মিজান ও রুমিকে গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্থানে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি ঢাকায় পাঁচটি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল নব্য জেএমবির পাঁচজন সদস্য। এদের দু’জন নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার রুমি ও মিজান। হামলায় ব্যবহৃত বোমাগুলো তারাই তৈরি করেছে। এরাই নারায়ণগঞ্জের আস্তানায় বোমাগুলো তৈরি করে। এক্ষেত্রে নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান ও অনলাইন বোমা বানানোর ভিডিও দেখে দক্ষতা অর্জন করে তারা। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মিশুক খান মিজানকে গ্রেফতারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা শিয়াচর এলাকায় তক্কার মাঠ সংলগ্ন একতলা একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ও প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক ফরিদউদ্দিন রুমিকে।
অভিযান শেষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ওই বাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। যার সঙ্গে পুলিশের ওপর সাম্প্রতিক বোমা হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকের মিল রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
আরবি/