মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের আখড়াবাড়ী মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায় প্রতিমার রং আর সাজসজ্জার কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বরগুনা সদর উপজেলায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৬টি, আমতলী ১৪, তালতলীতে ১১, বেতাগী ৩৬, বামনায় ১৭ ও পাথারঘাটায় ৪৫টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে।
প্রতিমা তৈরির কাজে আসা হৃদয় পাল বাংলানিউজকে বলেন, একজন প্রধান কারিগর তাদের দলবল নিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি থেকে ১৫টি পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করছেন। ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের প্রতিমা তৈরির বায়না নিয়েছেন। কোনো মণ্ডপে বেনি তৈরি আবার কোনো মণ্ডপে মাটির কাজ শেষ করে রঙের কাজ করছেন শিল্পীরা।
বরগুনা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মায়ের বোধন পূজার মাধ্যমে পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুখরঞ্জন শীল বাংলানিউজকে বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে বরগুনার ১৪৯টি পূজা মণ্ডপে সরকারকর্তৃক ৫শ’ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। চাল বিতরণের কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের হাতে এসেছে। দু’এক দিনের মধ্যে চাল বিতরণ করবে জেলা প্রশাসন।
বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেজন্য প্রতিটা পূজা মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি আনসার, গ্রাম্য পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবীরাও থাকবে। তাছাড়া সার্বক্ষণিক পুলিশ টিম ঘুরে ঘুরে সব পূজা মণ্ডপে খোঁজ-খবর নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এসআরএস