রোববার (১৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
সূত্র জানায়, রোববার পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের সঙ্গে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন মিয়া সেপ্পো।
অবশ্য মিয়া সেপ্পো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘের বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ের অফিস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেই বিবৃতিতে ফাহাদের মৃত্যুর নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিয়া সেপ্পোকে অবহিত করা হয়, জাতিসংঘের বিবৃতিতে মত প্রকাশের জন্যই আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে মরতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে তাকে বলা হয়, শুধু মত প্রকাশের কারণেই ফাহাদকে হত্যা করা হয়নি। ফেসবুকে ফাহাদ যে সমালোচনা করেছেন, এমন সমালোচনা অনেকেই করে থাকেন বলেও মিয়া সেপ্পোকে জানানো হয়।
গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) ছাত্র ফাহাদকে মারধর করে হত্যা করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১১ জনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
টিআর/টিএ