সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে মুন্সিগঞ্জে লঞ্চঘাট এলাকার একটি তেল বিক্রির দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
বিসমিল্লাহ্ ট্রেডার্সের পরিচালক আবদুর রহমান রবিন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে আমি দোকানে ছিলাম না, ম্যানেজার ছিল।
ম্যানেজার মাত্র দোকান খুলছে জানিয়ে তার বিকাশ নম্বর আছে কিনা জানতে চান। এসময় শাকিল বিকাশ নম্বর দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, আপনি তো পরিচিত তাই পাঁচ হাজার টাকা। অন্য এক ব্যক্তি এ ঘটনা দেখতে পেয়ে কাছে এসে ওই কনস্টেবলকে বলেন, চলেন আমরা থানায় যাই, কি হয়েছে দেখি। কিন্তু সেসময় শাকিল মোল্লা নামে ওই কনস্টেবল থানায় যেতে রাজি না হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। এরপর শাকিল মোল্লা স্বীকার করেন তিনি পুলিশ কনস্টেবল, ঢাকার ডিএমপিতে আছেন। পারিবারিক অস্বচ্ছতা ও অভাব অনটনের কারণে তিনি এ কাজটি করেছেন। পরে স্থানীয় জনতা তাকে সদর থানায় নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় এলাকায়। তিনি সাসপেন্ড অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, তিনি পুলিশের সদস্য। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও পারিপার্শ্বিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় আছেন। দোকানে গিয়ে থানা থেকে এসেছি বলে টাকা দাবি করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। অনেকদিন ধরে অসুস্থ, অনুপস্থিত অবস্থায় কর্মরত পুলিশ বিভাগে। তবে সাসপেন্ড কিনা জানিনা। এ ব্যাপারে ঢাকায় জানানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান জানান, পুলিশ সদস্য শাকিল মোল্লা মানসিকভাবে অসুস্থ ও পারিবারিকভাবে অস্বছল। তাকে আটক করা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
আরএ