মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ফোরাম ফর দ্য রাইটস অব দি এল্ডারলি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বয়সের সমতার পথে যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, আজ সামাজিক মূল্যবোধ না থাকায় সমাজ-পরিবার কিংবা সর্বত্র অশান্তি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবীণদের স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আজ দেশের গড় আয়ু বেড়েছে। তারা তাদের খাবার নিয়ম করে খান, ব্যায়াম করেন নিয়মিত, এজন্য অসুস্থ কম হচ্ছেন। তবে অনেকেই আছেন অসুস্থ। তাদের একটি রোগ হলে আরও নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এ বিষয়টি আমাদের দেখতে হবে।
‘তবে আমরা যারা প্রবীণ হচ্ছি, মনের দিক থেকে যেনো নিজেকে প্রবীণ না ভাবি। পাশাপাশি প্রবীণদেরকে তাদের যোগ্যতা অনুসারে কাজের ব্যবস্থা করে দিলে তারা অন্যের বোঝা হবে না। ’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সরকার শিশু ও নারীবন্ধব সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে প্রবীণ নির্যাতনের বিষয়ে কেউ কখনও ভাবে না। শিশুদের দেখার জন্য পিতা-মাতা আছেন, নারীর দেখাশোনা করার জন্য স্বামী আছে। কিন্তু প্রবীণের কেউ থাকে না। প্রবীণদের জন্য অবশ্যই রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রবীণবান্ধব সমাজ গঠন করে রাষ্ট্র আরও এগিয়ে নিতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবীণদের নিরাপত্তায় তাদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। অনেক দেশেই প্রবীণদের জন্য বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট বা অন্যস্থানে অর্ধেক দাম রাখা হয়। আমাদের দেশেও কিছু সুবিধা আছে। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা, বয়স্ক নাগরিক ঘোষণা, বাসের মধ্যে আসন সংরক্ষণ। তবে এগুলোর বাস্তবায়ন কতটুকু?
‘তবে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে, এটাকে এগিয়ে নিতে হবে। নবীনদের পাশাপাশি প্রবীণদের এগিয়ে নিলে, তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
ফোরাম ফর দ্য রাইটস অব দি এল্ডারলি বাংলাদেশের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক ড. শরিফা বেগম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সংগঠনটির মহাসচিব আবুল হাসিব খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
ইএআর/এসএ