বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংগ্রাম রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের ব্রাইট সি ফুডসের কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগ্রামের মা সাবিনা ইয়াসমিন মিলি বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টায় সারজিলকে অফিস থেকে ডেকে নেওয়া হয়। তারপর হিমায়ন বরফ কলের পাশে আল আমিনের চায়ের দোকানের সামনে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
‘এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ছয় জন ছাড়াও আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করি। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি জেলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি রাহাত শিকদার, সোহেল হাওলাদার, অমিত শেখ, সাজু, রনধর, আদম শেখ, সুমন মোল্লা, বায়েজিদ সরদার ও আলমগীরকে গ্রেফতার করে। ’
তিনি আরও বলেন, আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামিদের জবানবন্দিতে এক এক করে উঠে এসেছে এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী পূর্ব রূপসার মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামালের নাম। মামলায় তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে আমরা দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। কারণ তাকে গ্রেফতার করা না হলে তার ভয়ে আমাদের এলাকায় থাকা সম্ভব হবে না। কেউ সাক্ষ্য দিতে সাহস পাচ্ছে না। তাকে বাইরে রেখে এই মামলার সঠিক বিচার আমরা পাবো না বলেই মনে করছি।
‘মামলার তিন নম্বর আসামি ইব্রাহিম শেখ এখনো পলাতক। তাকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেজন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি মামলাটি যেন বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত বিচার আইনে বিচারের ব্যবস্থা করা হয় সেজন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি। ’
মামলার আট আসামিকে গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানান সংগ্রামের মা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত সংগ্রামের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এমআরএম/এফএম