এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি শর্টগান, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, একটি প্রাইভেটকার, দু’টি ওয়াকিটকি সেট, তিনটি ডিবি লেখা জ্যাকেট, চারটি ছুরি, একটি চাপাতি, ২০টি মোবাইল ফোন, আটটি গাড়ির নম্বর প্লেট ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- শহিদ আকন্দ (৪২), জাকির হোসেন ওরফে কামাল (৩৫), শাজাহান (৩৫), মাহাবুব মানিক (৩১), বাবু ইসলাম ওরফে পিচ্চি বাবু (২৮), আল আমিন হোসেন (৩৬), নুর ইসলাম (২৯), আর্জিনা বেগম (২৩)।
র্যাব-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, এ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূল হোতা শহিদ ও কামাল। তারা দু’জন ১৫ থেকে ১৬ জন ডাকাত সদস্যের একটি দল নিয়ন্ত্রণ করতেন। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি করে আসছিল। তারা প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেটকারে ও মাইক্রোবাসে করে ঘুরে স্বর্ণের দোকান, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ধরনের দোকানকে টার্গেট করতেন। পরে রাতে সেসব স্থানে ডিবি পরিচয় দিয়ে ঘুরাঘুরি করে এলাকায় ভীতি প্রদর্শন করে এবং কাজের কথা বলে নাইট গার্ডদের সরিয়ে দিয়ে ডাকাতি করতেন। এছাড়া, রাস্তায় সাধারণ যাত্রী এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলক ব্যক্তিদের টার্গেট করে ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে তুলে সর্বস্ব কেড়ে নিতেন। কখনো স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করতেন। তাদের প্রত্যেকের মধ্যেই আগে থেকে ডিবি অফিসারের ভূমিকায় কে থাকবে, কে হ্যান্ড কাফ পড়াবে, কে টার্গেট নির্ধারণ করবে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করা থাকতো। এ চক্রের সব সদস্যই গাড়ি চালাতে পারদর্শী।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসপি সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
পিএম/আরআইএস/