বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহাদ রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকে। তার ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তৃষ্ণা রানী সেন বাংলানিউজকে জানান, শিশুটির দুই চোখে সমস্যা হয়ে গেছে। তবে তার ডান চোখের সমস্যা প্রকট। কর্নিয়া একদম ফেটে গিয়েছে। আর দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ঢামেক থেকে তাকে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, বিস্ফোরণে আহত হয়ে এখনো আটজন ঢামেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদ (৩০) এবং ৯ বছর বয়সী আরও এক শিশু পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাঈদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনি নামে আরেক শিশু।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন জানান, আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো শিশুসহ পাঁচ জন চিকিৎসাধীন।
এদিকে নিহাদের এক নিকটতম আত্মীয় আল আমিন বাংলানিউজকে জানান, নিহাদের চোখের পাশাপাশি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ঢামেকের চিকিৎসকরা তাকে জেনারেল আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
অপরদিকে বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এজেডএস/এইচএ/