বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের লিংক রোডে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হকাররা এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
মিছিলটি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেট, দু’নম্বর গেট, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, গুলিস্তান ফ্লাইওভার, গোলাপশাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, মতিঝিল শাপলা চত্বর, নটরডেম কলেজ, আরামবাগ, পল্টন থানা, কাকরাইল বিজয়নগর হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে পল্টন মোড়ে হকার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আব্দুল হাসিম কবিরের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকান্দার হায়াত, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফুটপাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। হকার উচ্ছেদ করলে নাকি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে।
তারা বলেন, পত্র-পত্রিকায় পরিবহনসহ বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের ঘটনা প্রকাশ হচ্ছে। তাহলে কি পরিবহনসহ সব মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে?
মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে না ফেলে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সমাবেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান বক্তারা।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সরকার হকারদের আইনগত স্বীকৃতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স ও টোল আদায় করলে সবধরণের চাঁদাবাজি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। সিটি করপোরেশন তা না করায় চাঁদাবাজির সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
সমাবেশ থেকে ১১ নভেম্বর হকার গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৯।
আরকেআর/এবি