শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মোজাল্লিফ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুই ছেলে-মেয়ের বাবা নিহত নুরুল ইসলাম আহাদ উপজেলার ইলাশপুর গ্রামের নিমার মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে।
সৌদিতে অবস্থানরত আহাদের চাচাতো ভাই সুইন আহমদের বরাতে বড় ভাই নুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, তারা ১১টার দিকে মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। তার ভাই সৌদিতে ব্যবসা করতেন। পার্টনারশিপে একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন আহাদ।
তিনি জানান, ঘটনার সময় একটি গাড়িতে করে তারা পাঁচ-ছয়জন অন্যত্র যাচ্ছিলেন। পথে মোজাল্লিফ এলাকায় পৌঁছালে অন্য একটি গাড়ি বাম দিক থেকে এসে তাদের গাড়িকে ধাক্কা দিলে দরজার পাশে থাকা আহাদ মারা গেলেও অন্য সবাই প্রাণে বেঁচে যান।
নুরুল হক আরও জানান, গত ২০ বছর ধরে তার ভাই সৌদি প্রবাসী। এক বছর আগে তিনি দেশে ছুটি কাটিয়ে সৌদিতে গিয়ে কাজে যোগ দেন। আহাদের মরদেহ দেশে আনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে, আহাদের মৃত্যুর খবর শুনে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাড়িতে স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
উপজেলার ৪ নম্বর উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু বাংলানিউজকে জানান, নিহত আহাদ সম্পর্কে তার ভাগ্নে। খবর পেয়ে তিনি সান্ত্বনা দিতে নিহতের বাড়িতে ছুটে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘন্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এনইউ/এফএম