সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। সংগঠনটি নারায়ণগঞ্জে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক কাজ পরিচালনা করে থাকে।
এখন পর্যন্ত ১৫৯ জন হিজড়ার রক্ত পরীক্ষা করেছে ড্রপ ইন সেন্টার। তাদের মধ্য থেকে সাতজনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাসের কারণেই মরণঘাতী এইডস রোগে আক্রান্ত হয় মানবদেহ।
এর আগে ৪২০ জনকে টিবি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে যক্ষ্মা পরীক্ষা করে বন্ধু ওয়েল ফেয়ার। তাদের মধ্য থেকে আবার তিনজনের দেহে যক্ষ্মা রোগের ভাইরাস পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে আক্রান্তদের ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এইচআইভি প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। তাতে এ তথ্য উঠে আসে।
এতে সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ বলেন, এইডস রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি জরুরি সচেতনতা। এছাড়া প্রয়োজন নিরাপদ রক্তদান, যৌন সম্পর্ক ও খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা।
তিনি বলেন, এইচআইভির প্রাথমিক ধাপ হলো নিয়মিত ডায়রিয়া ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়া। তাই এমন হলে দ্রুত পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
সিভিল সার্জন এও বলেন, এইডস রোগীদের দিকে বাকা চোখে তাকাবেন না। আপনার ভালো ব্যবহারে একজন রোগী বেঁচে থাকার আশা পাবেন। পাশাপাশি মসজিদ বা লোকসমাগম হয় এমন স্থানে এইচআইভি সচেতনতা নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানান তিনি।
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নারায়ণগঞ্জ ড্রপ ইন সেন্টারের সিনিয়র ম্যানেজার একে হুমায়ূন কবিরের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, ডা. জব্বার চিশতি প্রমুখ।
হুমায়ূন কবির বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে দেশেব্যাপী হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য জনগোষ্ঠীর আত্মমর্যাদায় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কার্যক্রম শুরু করে। যা আজও অব্যাহত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
কেএসডি/টিএ