বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। বাগান মালিকদের দাবি এ ঘটনায় প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাতে দুর্বৃত্তরা উপজেলার জামালপুর গ্রামের পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে মাঠে ১২ জন ব্যক্তি মিলে ৬০ বিঘা জমিতে আট হাজার আম গাছের বাগান তৈরি করেন। সকালে বাগানের মালিকরা জমিতে গিয়ে গাছকাটার দৃশ্য দেখে বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়।
বাগান মালিক শ্রী ফটিক চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, সাপাহার উপজেলার জামালপুর গ্রামের পশ্চিম-দক্ষিণ পাশের মাঠে ৪ বিঘা জমিতে আমগাছের বাগান ছিল। আমার বাগান ছাড়াও এই মাঠে ১০ জন ব্যক্তি মিলে আলাদাভাবে ৬০ বিঘা জমিতে আমগাছের বাগান ছিল। সব মিলে বাগানে প্রায় ৮ হাজার আমগাছ ছিল। সকালে বাগানে এসে গাছকাটার দৃশ্য দেখতে পায়। পরে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়।
আরেক বাগানের মালিক রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, ওখানে আমার একার ১৮ বিঘা জমিতে বাগান ছিল। সকালে বাগানে এসে দেখি সব গাছ কাটা। ১৮ বিঘার এই বাগান তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। সামনে আমের সিজনে প্রায় সব গাছগুলোতে আম আসত। আমের সিজনের আগে কে বা কারা বাগানের গাছগুলি কেটে ফেলেছে।
তিনি আরও জানান, তিলে তিলে নিজের বাচ্চার মতো গাছগুলোকে লালন পালন করি আমরা। গাছগুলো কাটার ফলে আমরা একদম পথে বসে গেছি। আমাদের আর কিছুই নেই। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। তবে কে বা কারা কি কারণে গাছগুলো কেটেছে এটা আমাদের কারো জানা নেই।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কেউ থানায় মামলা করিনি। তবে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থানায় মামলা করা হবে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কে বা কারা এসব গাছ কেটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এনটি