শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী কমপ্লেক্সে রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, শূন্য হাতে শুরু করে জীবন সংগ্রামে সফলতা লাভ করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার মনে হলেও কারো জীবনে তা অর্জিত হয়েছে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর অদম্য সাহসিকতা ও ধৈর্য্য নিয়ে সামনের দিকে পথ চলে।
‘একটি শিক্ষাকেন্দ্রের অভাবে যেখানে নারীশিক্ষা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, এই মানুষটির অবদানেই সেখানে আজ হাজারো নারী সুশিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের নারীসমাজকে আলোকিত করছে। যার প্রতিষ্ঠিত ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল, কুমুদিনী কলেজের মতো নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে আজও আপন মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। আর সেই মানুষটি হলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের মির্জাপুর গ্রামের দানবীর রায় বাহাদুর রণদা প্রসাদ সাহা। ’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে এক নতুন আশা দেখিয়েছেন। সেটি হলো- বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে। যেখানে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে বিশিষ্ট দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকে অপহরণ ও হত্যা করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই।
এরপর মাননীয় অর্থমন্ত্রী কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং কলেজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের খোঁজ-খবর নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এমআইএস/এসএ
আরও পড়ুন>>>পেঁয়াজে কোনো ইমপোর্ট ডিউটি নেই: অর্থমন্ত্রী