আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ঢাকায় শীতের অনুভূতি পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০ নভেম্বর থেকে দেশের অনেকাংশে তাপমাত্রা কমে যাবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩ থেকে ৪ দিন পর এরকমই তাপমাত্রা অনুভূত হবে দেশের বিস্তৃর্ণ এলাকায়।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, শীত বা ঠাণ্ডার অনুভূতি গ্রামাঞ্চল এবং শহরতলীতে পড়ে গেছে। তবে ঝাঁকানো শীত এখনি আসবে না। তিনি বলেন, তাপমাত্রা একটু একটু করে কমছে। তবে দিনের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি। ২০ নভেম্বরের দিকে আরও কমে যাবে, তখন ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে অনেক অঞ্চলে।
শীতে এবার আবহাওয়ার বড় ধরণের কোনো পরিবর্তনের আভাস নেই জানিয়ে আরিফ হোসেন বলেন, মোটামুটি স্বাভাবিক শীতই অনুভূত হবে দেশজুড়ে।
গতবছর ৮ জানুয়ারি অতীতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশ স্বাধীনের পর এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছিল আবহাওয়াবিদেরা।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, গতবছর পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কম ছিল। তিন চার বছর আগে সেখানে পর্যবেক্ষণ স্টেশন স্থাপন করা হলেও দু’বছর ধরে ডাটা আসা শুরু হয়। হিমালয়ের সেখানে সব সময়ই তাপমাত্রা কম থাকে।
ঢাকায় রোববার দুপুরের পর থেকে মেঘলা আকাশ দেখা যায়। এতে তাপমাত্রাও কিছুটা কমে যায়। তবে ঢাকায় শীত আসতে আরও সময় লাগবে বলে জানান আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকায় বহুতল ভবন ও ঘনবসতি এলাকায় শীত তেমন অনুভূতি না, ডিসেম্বরে প্রথম সপ্তাহের পর মাঝামাঝি সময়ে আসে।
২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। ভোররাত থেকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। আর দেশের পশ্চিমাংশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে (৭২ ঘণ্টায়) রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াও শ্রীমঙ্গলে ১৬ দশমিক ৫, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ৯, যশোরে ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর বিভাগীয় রংপুরে ১৯, ঢাকায় ২০ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ১৮ দশমিক ৯, সিলেটে ২০, চট্টগ্রামে ২১ দশমিক ৩, বরিশালে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বভাসে বলা হয়, নভেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। তবে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে ডিসেম্বরে এক'দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০) ও মাঝারি (৬ থেকে ৮) ধরণের শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আর জানুয়ারিতে ২ থেকে ৩টি মৃদু ও মাঝারি এবং এরমধ্যে দু'টি তীব্র (৪ থেকে ৬) শৈত্যপ্রবাহ রূপ নিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/