মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পুলিশ স্টাফ কলেজ মাঠে ‘ডমেক্স’র উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবাই মিলে আমরা জাতীয় ইস্যুর সমস্যা সমাধান করতে পারি।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি পরিবার থেকে স্কুল-কলেজে ছেলে-মেয়ে পড়তে আসে। ছেলে-মেয়েরা যদি বোঝে তাদের টয়লেট ইন হাইজেনিক বা অপরিষ্কার হলে তাদের সমস্যা হবে। এ বিষয়গুলোতে তাদের সচেতন করতে পারবেন শিক্ষকরা। শুধুমাত্র পরিষ্কার টয়লেটের মধ্যে থাকলে কী হবে? একজন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে যেসব বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দ্বারা বোঝানো সম্ভব। ছাত্র-ছাত্রীদের টয়লেট পরিষ্কার রাখতে হবে। নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কারের পাশাপাশি নিজেকেও পরিষ্কার রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে সাউথ কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল। তখন কোরিয়ার সরকার জনগণের কাছে আহ্বান করেছিল সাহায্যের জন্য। সে সময় একটি মেয়ে তার বিয়ের বালা ও এনগেজমেন্টের রিং ব্যাংকে জমা দিচ্ছিলেন। তখন একজন সাংবাদিক মেয়েটিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এ বালা আর রিংয়ের সঙ্গে আপনার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এটা আপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কেন এগুলো ব্যাংকে জমা দিচ্ছেন। যদি ফেরত না পান। মেয়েটি উত্তরে বলেছিলেন আমার দেশ যদি থাকে, তাহলে আমি এগুলো ফেরত পাবো। যদি দেশ না থাকে, তাহলে বালা আর রিং এর কোনো মূল্য নেই’ এটাই হলো জাতীয়তাবোধ, এটাই হলো দেশপ্রেম। আমি-আপনে দেশকে ভালোবাসলে দেশের উন্নতি হবেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, ইউনিলিভারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেদার লেলে, ওয়াটার এইডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমরুল কায়েস মনিরুজ্জামান, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর আয়েমান সাদিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএমআই/আরআইএস/