ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৯ বছরেও শেষ হয়নি আলীকদমের পানি শোধনাগারের কাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
৯ বছরেও শেষ হয়নি আলীকদমের পানি শোধনাগারের কাজ

বান্দরবান: দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মানুষ। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই উপজেলা সদরে পানি সংকট নিরসনের লক্ষ্যে একটি পানি শোধনাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ নয় বছর পার হয়ে গেলেও শেষ হয়নি এ প্রকল্পের কাজ। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে মাঝ পথেই থেমে আছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ।  

২০১১ সালের ১১ জুন আলীকদম উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে শুরু হয় এই পানি শোধানাগার প্রকল্পের কাজ, কিন্তু এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে কয়েকদিন পরেই অর্থ বরাদ্দের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। দীর্ঘ নয় বছরেও পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে কষ্ট ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আলীকদমের পান বাজারের বাসিন্দা জাফর বাংলানিউজকে বলেন, বিশুদ্ধ পানির অভাবে আমরা অনেক কষ্টে আছি। আলীকদমে আমরা ভালো পানি পাচ্ছি না।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসান মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, আলীকদমে পানি সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে একটি পানি শোধনাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা হতাশাগ্রস্ত। আমরা চাই সরকার দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শেষ করে আলীকদমে পানি সরববরাহ চালু করতে পারবে।

পানি শোধনাগার প্রকল্প।  ছবি: বাংলানিউজ

জানা যায়, আলীকদম উপজেলার পুরনো ডাকবাংলো এলাকায় পানি শোধনাগার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ৫৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে আলীকদম বাজারপাড়া, খুইল্যামিয়া পাড়া, আমতলী, পূর্ব পালংপাড়া, বাস টার্মিনাল এলাকা, উত্তর পালংপাড়া, ছাবের মিয়াপাড়া, থানা পাড়া, সদর হিন্দুপাড়া ও অংবাই কার্বারি পাড়ার মানুষের পানির সংকট কেটে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ শুরু করলে ও সমাপ্ত করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করে পানি সরবরাহ করা হোক। আর এই পানি শোধনাগার স্থাপন করা হলে এই এলাকার খুইল্যামিয়া পাড়া, আমতলী, পূর্ব পালংপাড়া, বাস টার্মিনাল এলাকা, উত্তর পালংপাড়া, ছাবের মিয়াপাড়া, থানা পাড়া, সদর হিন্দুপাড়াসহ দুর্গম পাড়ার জনসাধারণ পানির কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।

পানি শোধনাগার প্রকল্পে উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।  ছবি: বাংলানিউজ

এদিকে, বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী খোর্শেদ আলম প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার ফলে আলীকদমের পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে তবে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে এই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করা হবে। পানি শোধনাগার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকায় পানির পাইপ লাইন স্থাপিত হবে। এর ফলে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার জনসাধারণ উপকৃত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।